ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের রীডার ও শেখ মুজিবের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সােবহান মে মাসে কলকাতা থেকে লন্ডন হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে তিনি এইড় কলসিয়াম’-এর সদস্য দেশগুলাের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাকিস্তানকে বৈদেশিক সাহায্যদান বন্ধ করার। পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করেন। ৭. কূটনৈতিক তৎপরতা : ১৯৭১ সালের গােড়ার দিক থেকে শুরু করে দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন দেশের সাথে যােগাযােগ রক্ষা করে থাকেন, তারা বিশ্বের বড় বড় নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করে কূটনৈতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন। ‘ উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা অর্জনে এদেশের জনগণের যেমন । মুখ্য ভূমিকা রয়েছে, তেমনি প্রবাসী বাঙালিরাও প্রত্যক্ষ এবং পরােক্ষভাবে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেন। সকলের। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়।।
মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক সমাজের ভূমিকা লিখ। অথবা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক সমাজের ভূমিকা সংক্ষেপে লিখ। উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শুধুমাত্র বাংলাদেশীরা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণই করেন। নি; বরং আমাদের দেশে বসবাসকারী তৎকালীন বিদেশি নাগরিকগণ যেমন প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন, তেমনি নিজ নিজ দেশে অবস্থান করেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেন। তারা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ও বাঙালি শরণার্থীদের জন্য কাজ করতে থাকেন। মূলত এদেশের স্বাধীনতায় বিদেশি * নাগরিকের অসামান্য অবদান রয়েছে। | মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের নাগরিক সমাজের ভূমিকা : নিম্নে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে।
বিদেশি নাগরিক সমাজের ভূমিকা তুলে ধরা হলাে
পাকবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যার ব্যাপক বিরােধিতা করেন বিশ্ব। নেতৃবৃন্দ। তারা কোনােভাবেই এই হত্যাযজ্ঞ মেনে নিতে পারেন নি। * ২. পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস : ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একদল সদস্য পর্ববঙ্গে গত ১ করার উদ্দেশ্যে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরােধ জানিয়ে পালািমেন্টে এক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এপ্রিলের মধ্যে ১৬০ জনেরও বেশি পার্লামেন্ট সদস্য এই প্রস্তাব সমর্থন করলে তা পাস হয়। । | ৩ মার্কিন প্রশাসনে চাপ সৃষ্টি : মার্কিন বুদ্ধিজীবীগণ একটি সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্যে প্রশাসনের উপর চাপ সষ্টি করেছিলেন। অ্যাসােসিয়েশন ফর এশিয়ান স্টাডিজ-এর বার্ষিক সম্মেলনের প্রায় দু’হাজার শিক্ষাবিদ অনিলয় গণহত্যা বন্ধের জন্যে আবেদন জানান।
এ সম্মেলনে জরুরি ত্রাণসামগ্রী পূর্ব-পাকিস্তানে পাঠানাের জন্যে যক্তরাষ্ট্র ও কানাডাকে অনুরােধ জানানাে হয়।। ৪ বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদান : ১৯৭১ সালের ১৭ জুন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্য ৯০ * পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর প্রদান করে যুক্তরাজ্যের হাই। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কূটনৈতিক পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর প্রদান করে যত কমিশনার হিসেবে ঘােষণা করেন। বিচা ২ গােণা করেন। বিচারপতি চৌধুরীর এ পরিচয়পত্র রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নিকট পেশ করা হল। তিনি এর প্রাপ্তি স্বীকার করে একটি পত্র প্রের কার করে একটি পত্র প্রেরণ করেন। এর মাধ্যমে মূলত ব্রিটেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে। = আবেদন : ১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেড়ি যুক্তরাষ্টের ৫. মানবিক সাহায্যের আবেদন : ১ এপ্রিল ১৯৭১ সালে মার্কিন সিনেটর এডa সক চক্তির শর্তাবলি লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জাতিসংঘকে সিনেটে পাকিস্তান কর্তৃক সামরিক চুক্তির শতাবাল লম্যানের কথা উল্লেখ করে ও মানবিক সমস্যাগুলাের সমাধানকল্পে উদ্যোগ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান।
পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও মানবিক সমস্যাগুলাের সমাধানকল্পে উদ্যোগ সভা, উপমহাদেশের তৎকালীন অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে দীe বন্দকে এ অঞ্চলের অবস্থা ও পাকিস্তানের অমানবিক ইন্দিরা গান্ধী তিন সপ্তাহের সফরে বের হন। এসময় তান বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এ অঞ্চলের অবস্থা ও পাকিত কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত করেন। সংগ্রাম ও স্বাধীনতা অর্জনে এদেশের জনগণের যেমন | উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা অর্জনে লিরাও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। গত তা ভাষাভাষী বিদেশি নাগরিকরাও এদেশের স্বাধীনতায় বেশ অবদান ব আত্মপ্রকাশ করতে। | ৬. ইন্দিরা গান্ধীর তৎপরতা : উপমহাদেশের তৎকালীন অবস্থা সম্পর্কে বি করতে সমর্থ হয়। মুখ্য ভূমিকা রয়েছে, তেমনি প্রবাসী বাঙালিরাও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ এদেশের জনগণ বা প্রবাসী বাঙালিরাই নন, ভিন্ন ভাষাভাষী বিদেশি নাগ • রাখেন।
আরো পড়ুন: